শাপলা খাতুন (নাটোর প্রতিনিধি): নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড়ে শারমিন বিথি (৩২) হত্যা’র রহস্য ১২ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধা পৌনে ৭টায় হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত প্রেমিক সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতার প্রেমিক জাহিদ হাসান সাদ্দামকে (২৯), সে নাটোর বড়াইগ্রাম থানার কামারদহ গ্রামের -মোঃ সোহরাব হোসেনের ছেলে।

অপর দিকে, নিহত যুবতী মাহমুদা শারমিন বিথি (৩২) নাটোরের লালপুরের গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কাজ শেষে প্রতিদিনের ন্যায় রাত ৮টা’র মধ্যে বাড়ি না ফিরলে তার বাবা মোঃ আমজাদ হোসেন (মামলার বাদি) মেয়েকে অনেক খোঁজ করেও সন্ধান পান নি। পরেরদিন শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে লালপুরের গোপালপুর পৌরসভার অন্তর্গত তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে একজন মহিলার লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে নিহতের বাবা সেখানে গিয়ে মেয়ের লাশ সনাক্ত করেন। খবর সংবাদ পেয়ে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় সিআইডি’র ক্রাইমসিন ইউনিটও ঘটনাস্থলে আসে। লাশের সুরতহাল শেষে ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

যুবতীকে হত্যাকান্ডের বিষয়টি আমলে নিয়ে নাটোর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম পিপিএম-এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় বড়াইগ্রাম সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্যান্য অফিসার-ফোর্স ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেন। এরপর ১২ ঘন্টার মধ্যে যুবতী হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দামকে(২৯), গ্রেফতার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মোঃ জাহিদ হাসান হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। পরে তার দেখানো ঘটনাস্থলের পাশের ঝোপ হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। সাদ্দামের সাথে নিহত বিথির দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে নিহত বিথি আসামি সাদ্দামকে বিবাহের জন্য চাপ দিলে জাহিদ হাসান সাদ্দাম অপারগতা জানিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাদ্দাম তার প্রেমিক বিথিকে কৌশলে ডেকে নেয় এবং গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে আম বাগানে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে লালপুর থানায় ধারা-৩০২/৩৪ দ:বি: মামলা দায়ের করেন। লালপুর থানার মামলা নং-২১, তারিখ-২৪-১১-২০২৩।